Wednesday, September 28, 2016

বিজনেস মার্কেট অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েশন

অ্যামাজন হচ্ছে অনলাইনে পণ্য বিক্রির সবচেয়ে বড় স্টোর। অ্যাফিলিয়েশনের ক্ষেত্রেও সবচেয়ে বড় সেক্টর হচ্ছে অ্যামাজন। এখানে পণ্যের মধ্যে শিপিং পণ্য বেশি। দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত ছোট থেকে বড় সব পণ্য অ্যামাজনে পাওয়া যায়। সেসব পণ্যের বিক্রির জন্য অ্যাফিলিয়েশন করা যায় affiliate-program.amazon.com এই ঠিকানায়। তবে ভালভাবে কাজ না জেনে অ্যাফিলিয়েশনের জন্য অ্যামাজনে অ্যাকাউন্ট না খোলাই ভালো। কারণ ৯০ দিনের মধ্যে প্রোডাক্ট বিক্রি করতে না পারলে অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হতে পারে। অ্যাফিলিয়েশন করার জন্য নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করে, সেই ওয়েবসাইটকে এসইও করতে হবে। অ্যাফিলিয়েশন হচ্ছে, অনলাইনে ইনকামের যতগুলো জায়গা আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে সেরা সেক্টর হচ্ছে অ্যাফিলিয়েশন, সবচেয়ে বেশি পরিমাণ ইনকামের জায়গা অ্যাফিলিয়েশন। আমরা বলে থাকি, কেউ যদি বিদেশে গিয়ে যে ইনকাম করতে পারত, সেটি যদি এদেশে বসেই করতে চায়, তাহলে তার জন্য সবচেয়ে সেরা সেক্টর হচ্ছে অ্যাফিলিয়েশন।
কাদের জন্য উপযুক্ত অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েশন?
ভালভাবে এসইও জানা থাকলে, যাদের ইংরেজিতে দক্ষতা ভালো রয়েছে, সেই সঙ্গে মার্কেটিং দক্ষতা থাকলে অ্যাফিলিয়েশনে সফল হওয়া সম্ভব। সেই সঙ্গে পরিশ্রম করার মানসিকতা এবং ধৈর্যশক্তি ছাড়া এ সেক্টরে সফল হওয়া সম্ভব না। যে কোনো ধরনের অ্যাফিলিয়েশনের ক্ষেত্রে পেইড মার্কেটিংয়ের দরকার পড়ে। সেজন্য ইনভেস্ট করার মতো প্রস্তুতি থাকলে অ্যাফিলিয়েশন শুরু করা যেতে পারে।
আমাজনে অ্যাকাউন্ট তৈরি
কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই খুব সহজে আমাজনে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। আমাজনে অ্যাফিলিয়েশন করতে হলে প্রথমে আমাজনে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
ওয়েব ঠিকানা: https://www.amazon.com/। এক্ষেত্রে একটা ইমেইল এড্রেস লাগবে। অ্যাকাউন্ট করার সময় সাইনআপ ফর্মে সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হয় ।
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েশন করার জন্য কি কি জানা লাগবে?
- নিশ নির্বাচন ও কিওয়ার্ড রিসার্স
- প্রোডাক্ট রিসার্স
- নিশ সাইট বা ব্লগ তৈরি
- গুণগত মানসম্পন্ন কন্টেন্ট রাইটিং
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- পেইড মার্কেটিং (অ্যাডওয়ার্ড, ফেসবুক, মিডিয়া বাই প্রভৃতি)
১) নিশ নির্বাচন ও কিওয়ার্ড রিসার্স : নিশ হচ্ছে একটা নির্দিষ্ট বিষয়। আপনি যে ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েশন করতে চান সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে। গুগলের মতো অ্যামাজনও সার্চ বারে সম্ভাব্য সার্চ রেজাল্ট দেখায়। যে সার্চ রেজাল্টটি সবার প্রথমে দেখায় তা আপনার পেজের টাইটেল হিসেবে ব্যবহার করুন অথবা আপনার পেজের বর্ণনায় সেই কিওয়ার্ডটি ব্যবহার করুন।
যে নিশটি নির্বাচন করবেন তার ব্যাকগ্রাউন্ডে যাতে কোনো প্রডাক্ট বা সার্ভিস না থাকে তা নিশ্চিত হয়ে নিবেন। নিশ্চিত হওয়ার জন্য http://alltop.com এই সাইটটি আপনাকে সাহায্য করবে।
এই সাইটটি মূলত বিভিন্ন জনপ্রিয় সাইটের আরএসএস ফিড নিয়ে তৈরি করা। এই সাইটি ওপেন করলে সেখানে দেখা যায় অ থেকে ত পর্যন্ত নেভিগেশান বার। ওই বারের যে কোনো একটা লেটারে ক্লিক করলেই ড্রপ ডাউন মেন্যুতে ওই লেটারের আওতায় বিভিন্ন টপিক্স দেখতে পারবেন। ওই টপিক্সগুলো থেকে সহজেই পছন্দের নিশ বাছাই করা যায়। এমন একটি নিশ নির্বাচন করতে হবে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ মানুষের আগ্রহ আছে এবং তাতে অনেক প্রোডাক্ট আছে যেগুলো প্রমোট করলে আপনি ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। নিশ খোঁজার জন্য সবসময় মেইন ক্যাটাগরিতে না খুঁজে ওই মেইন ক্যাটাগরির সাবক্যাটাগরিতে খুঁজলে ভালো ফিডব্যাক পাওয়া যাবে। তাহলে খুব দ্রুতই আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত নিশ খুঁজে পাবেন। নিশ খোঁজার সময় মনে রাখতে হবে আপনি যে নিশটি নির্বাচন করছেন সেটা যাতে কোনো ব্রান্ডের সঙ্গে সংঘর্ষপূর্ণ না হয়। ইনফরমেশন সাইটগুলো তখনই ভালো করে যখন সার্চ ইঞ্জিন থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ট্রাফিক পাওয়া যায়। সার্চ ইঞ্জিন থেকে তখনই ট্রাফিক পাওয়া যাবে যখন আপনার সাইট সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফল পাতায় অনেক কিওয়ার্ডের জন্য শীর্ষে অবস্থান করবে। কিওয়ার্ড নির্বাচন তাই গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে এমন কিওয়ার্ডগুলো নির্বাচন করতে হবে যেগুলো বায়িং কিওয়ার্ড, যে প্রোডাক্টগুলো আপনি প্রচার করবেন তার সঙ্গে সম্পর্কিত, পর্যাপ্ত পরিমাণে সার্চ ভলিয়ম আছে এবং সেগুলোর এসইও কম্পিটশন কঠিন নয়। নিশ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখা উচিত এভারগ্রিন বা চির সবুজ নিশ বাছাই করা যাতে সবসময় ট্রাফিক পাওয়া যায়।
২) প্রোডাক্ট রিসার্স : প্রোডাক্ট রিসার্স করতে হলে আপনাকে মার্কেট সম্পর্কে জানতে হবে। আপনি যদি আমাজন নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে দেখতে হবে এই মার্কেট প্লেসের বর্তমান অবস্থা। কোন কোন প্রোডাক্টগুলো সেল হচ্ছে ভালো এবং কোন ধরনের প্রোডাক্টগুলো আপনি সেল করতে পারবেন। সেই প্রোডাক্টগুলো থেকে অ্যাফিলিয়েটের জন্য নির্বাচন করতে হবে।
আপনি যদি ভুল প্রোডাক্ট বা ক্রেতার চাহিদার বাইরের কোনো পণ্য নির্বাচন করেন, সেক্ষেত্রে আপনি নিশ্চিতভাবে ওই প্রোডাক্টটি বিক্রি করতে অসমর্থ হবেন এবং এমনকি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।
প্রোডাক্ট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, যেটি বাছাই করবেন, সেটি যাতে নিত্য ব্যবহার্য প্রোডাক্ট হয় এবং অবশ্যই ভালো ব্রান্ডের প্রোডাক্ট হয়। তাহলে প্রোডাক্ট মার্কেটিং করলে বিক্রি সহজে হবে।
৩) নিশ সাইট বা ব্লগ তৈরি : অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য একটি নিশ সাইট তৈরি করে সেখানে ব্লগিং করে প্রোডাক্টটির ব্যাপারে মানুষের আগ্রহ তৈরির মাধ্যমে বিক্রি বৃদ্ধি করতে হবে।
একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর নিশ সাইট তৈরি করতে হবে। এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে নিশ সাইট বানানোর জন্য প্রিমিয়াম থিম ব্যবহার করা উচিত। তবে অবশ্যই কিনে, তা না হলে পরে কপিরাইট জটিলতা, ম্যালয়ার এট্যাক, এড ওয়্যার এর বিড়ম্বনায় আপনাকে পড়তে হতে পারে। ফ্রি থিমে না যাওয়ায় ভালো, কেননা আপনি থিম আপডেট নাও পেতে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেস ভার্শন আপডেট হওয়ার পাশাপাশি থিম আপডেট করা লাগে। নয়তো আপনার সাইট স্পামার-হ্যাকারদের দৃষ্টিতে পড়তে পারে। তাই প্রিমিয়াম থিম ব্যবহার করা ভালো।
৪) গুণগত মানসম্পন্ন কন্টেন্ট রাইটিং
নিশ সাইটে প্রোডাক্ট রিভিউ, প্রোডাক্ট পরিচিত, অন্য ব্রান্ডের সঙ্গে পার্থক্য নিয়ে আর্টিকেল পোস্ট করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। তবে সেক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, কন্টেন্টগুলো মানুষের জন্য যাতে উপকারী হয়। প্রোডাক্ট কেনার ব্যাপারে জোর করার অর্থাৎ অ্যাডভার্টাইজ করার দরকার নেই। কন্টেন্টগুলো গুণগত মানসম্পন্ন হতে হবে। তাহলে পাঠক প্রোডাক্টটি কিনতে আগ্রহী হবে। মূলত মূল ইনকামটাই হবে আপনার কন্টেন্টের ওপর। সেজন্য ভালো মানের কন্টেন্ট লেখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
আমাজন অ্যাফিলিয়েট করার জন্য ৪টি স্টেপ মাথায় রেখে নিশ সাইটে কন্টেন্ট লিখতে হবে । যেমন :
ক) প্রোডাক্ট পরিচিতি : আপনি যেই প্রোডাক্ট সেল করতে চাচ্ছেন সেই প্রোডাক্টের নামসহ ২-৩ লাইন অল্প সময়ের মধ্যে লিখবেন। লাইনগুলো অবশ্যই সিম্পল বাক্যে লিখলে ভালো যাতে ক্রেতাদের বুঝতে অসুবিধা না হয়।
খ) প্রোডাক্টের ব্যবহার : প্রোডাক্টটি কিভাবে ব্যবহার করা যায়? প্রোডাক্টটি কেন ব্যবহার করা হয়? প্রোডাক্টটির মেয়াদ কতদিন পর্যন্ত থাকে? অর্থাৎ ক্রেতাদের মনে যা প্রশ্ন থাকে তারা যাতে সহজে উত্তর পায় এমনভাবে হাইলাইটস করতে হবে।
গ) তুলনা করা : যেই প্রোডাক্ট সেল করতে চাচ্ছেন সেই প্রোডাক্টের সঙ্গে অন্য ব্রান্ডের একই প্রোডাক্টের সঙ্গে তুলনা করে আপনার প্রোডাক্টের এক্সট্রা অরডিনারি কিছু তুলে ধরেন যা সহজেই ক্রেতাদের নজর কাড়বে।
ঘ) প্রোডাক্ট রিভিউ বিস্তারিত লেখা : এখন আপনার পণ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আপনার সাইটে রিভিউ লিখতে হবে, আপনাকে জানাতে হবে কেন এই পণ্যটি একজন ক্রেতার জন্য উপযোগী। আপনি কোনো বিষয়ে ব্লগ আর্টিকেল, সাইট কনটেন্ট বা কোনো পণ্য বা সেবার রিভিউ লিখতে লিখে প্রমোট করতে পারেন।
উপরের ধাপগুলোর মাধ্যমে নিশ সাইট প্রস্তুত হয়ে যাবে। এবার সাইটকে মার্কেটিং করে সবার চোখের সামনে নিয়ে আসতে হবে। সেই প্রসেসগুলো নিয়ে নিচে আলোচনা করা হল-
১) সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন :
নিশ সাইটের কন্টেন্টগুলো বায়িং কিওয়ার্ড দিয়ে র‌্যাংক করিয়ে রাখতে হয়। যাতে বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে সম্ভাব্য ক্রেতারা তাদের প্রয়োজনে কেনার সময় গুগলে সার্চ করলে আপনার নিশ সাইটের লিংক সবার প্রথমে খুঁজে পায়।
নিশ সাইটের জন্য এসইওর বিকল্প নাই। কোয়ালিটি এবং টার্গেটেড ট্রাফিক সার্চ ইঞ্জিন থেকে ব্লগে আসে তখন বিক্রি বৃদ্ধি পায়। তবে র‌্যাংক করার জন্য সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন জরুরি। না হলে র‌্যাংক করেও সফল হতে পারবেন না।
২) সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
অনলাইনে যত ধরনের আয় আছে তার অধিকাংশ হচ্ছে বিজ্ঞাপনভিত্তিক অথবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিজ্ঞাপনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেরই ফেসবুক পেইজ থাকে। টুইটার অ্যাকাউন্ট, গুগল প্লাস পেইজ, লিঙ্কেডিন, রেডিট ইত্যাদি থাকে। এগুলোর মাধ্যমে পণ্যের প্রচার করা যায়। সোশ্যাল শেয়ার, টুইট, কমেন্ট বা লাইকও কন্টেন্টের মান ও উপকারিতার বার্তা প্রকাশ করে। সোশ্যাল এই সিগন্যালগুলো সাইটের অথরিটি তৈরিতে সাহায্য করে। সোশ্যাল মিডিয়া দুইভাবে এফিলিয়েট ওয়েবসাইটসহ যে কোনো ওয়েবসাইটের সাফল্য পেতে সাহায্য করে। একদিকে অথরিটি তৈরি করে অন্যদিকে সরাসরি সাইটকে ঘিরে একধরনের কমিউনিটি বা ফ্যান বেইস তৈরি হয়। এই ফ্যান বা ফলোয়ালরা যেমন সাইটের ভিজিটর হয় তেমন সাইটের জনপ্রিয়তা তৈরিতে সহায়তা করে। তারা যখন কোন কন্টেন্ট শেয়ার, লাইক বা টুইট করে তা থেকে তাদের ফ্রেন্ড বা ফলোয়াররা সাইটটি সম্পর্কে জানতে পারে।
৩) পেইড মার্কেটিং : পেইড মার্কেটিং ছাড়া অ্যাফিলিয়েশনে সফল হতে অনেক দেরি লাগে এবং সাফল্যের হার অনেক কম হয়। সোশ্যাল মিডিয়াতে নির্দিষ্ট ক্রেতা টার্গেট করে পেইড মার্কেটিং করা যায়।
এছাড়াও বিভিন্ন ব্লগ কিংবা ফোরাম সাইটেও নির্দিষ্ট ডলারের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেয়া যায়। এভাবে পেইড মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে খুব দ্রুত ইনকাম সম্ভব হয়।
৪) ইমেইল মার্কেটিং : নিশ সাইটের প্রোডাক্টের ওপর ভিত্তি করে টার্গেটেড ক্লায়েন্টের ইমেইল লিস্ট কালেক্ট করে ইমেইল মার্কেটিং চালালে ভালো সফল হওয়া যায়। বিশাল ইমেইল লিস্ট ধরে মার্কেটিং করার দরকার নাই। টার্গেটেড বয়স, টার্গেটেড এলাকাসহ আরও কিছু বিষয় টার্গেট করে মেইল মার্কেটিং করলে সফলতা পাওয়া যায়।
৫) ভিডিও মার্কেটিং : মানুষ ইদানীং পছন্দের কোনো প্রোডাক্ট কেনার আগে ইউটিউবে ভিডিও রিভিউ দেখার চেষ্টা করে। এ বিষয়টাকে মাথায় রেখে আপনার নিশ প্রোডাক্টটিরে রিভিউ ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে, সেই ভিডিওকে আবার ইউটিউবের সার্চে বায়িং কি-ওয়ার্ড দিয়ে প্রথমে নিয়ে আসতে পারলে বিক্রি বৃদ্ধি পাবে অনেক।
সবশেষ পরামর্শ : অনলাইনে আয়ের সবচাইতে বড় সেক্টর হচ্ছে অ্যাফিলিয়েশন। কিন্তু লোভে পড়ে প্রস্তুতি না নিয়ে এ সেক্টরে পদচারণা শুরু করা উচিত না। নিজেকে আগে এসইও সেক্টরে দক্ষ করে তুলুন, অনলাইন মার্কেটিংয়ের সব বিষয় ভালভাবে আয়ত্ব করুন, এরপর অ্যাফিলিয়েশনের পরিকল্পনা করলে ব্যর্থ হতে হবে না। এসইও, অনলাইন মার্কেটিং, ইংরেজিতে দক্ষতা, আর্টিকেল রাইটিংয়ের অভিজ্ঞতা অ্যাফিলিয়েশন শুরুর জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি।

Monday, September 26, 2016

আপনার ভিডিওর ডেসক্রিপশনে লিঙ্ক বিক্রি করে আয় করুন



এটা অনেক মজার একটা আয়। ধরুন যেকোনো বিষয়ের উপর আপনার একটা ভিডিও ইউটিউব এ প্রথম দিকে আছে। এই মুহূর্তে এই ধরনের প্রোডাক্ট যাদের আছে আপনি চাইলেই তাদের কাছে এককালীন অথবা দীর্ঘমেয়াদী শর্তে একটা লিঙ্ক বিক্রি করতে পারেন যা আপনার ভিডিও এর ডেসক্রিপশনে থাকবে। কয়েকটা ভিডিও তে এসইও করেই আপনি এইভাবে লিঙ্ক বিক্রি শুরু করতে পারেন।
তবে এই ক্ষেত্রে ভিডিও তে অবশ্যই ভালো মানের ভিসিটর থাকতে হবে আর এভাবে লিঙ্ক দিয়ে আপনি আপনার নিজের ওয়েবসাইট বা ওয়েব ব্লগেও প্রচুর পরিমান ট্রাফিক আনতে পারেন

ফেসবুক থেকে ভিডিও ডাউনলোড করুন খুব সহজে কোন সফটওয়্যার ছাড়া !!!!!

অনেকে ফেসবুক এর ভিডিও দেখতে পারেন কিন্তু কিভাবে ডাউনলোড করবেন সেটা জানেন না । তো চলুন আজকে জেনে নেই কিভাবে ফেসবুক থেকে ভিডিও ডাউনলোড করবেন (কোন সফটওয়্যার লাগবে না ) ।



তো ভিডিও টি ডাউনলোড করার জন্য আপনাকে এখানে যেতে হবে । এরপর নিচের পিকচার টির মত পেজ আসবে ......





কপি করা ভিডিও লিঙ্ক টি পেস্ট করার পর ডাউনলোড লেখায় ক্লিক করুন




>>Download mp4>>360p  অথবা অন্য কোন ফরম্যাট এ ( যেমন ,  3gp ,mp4,hd ) ডাউনলোড করতে চাইলে মাওউস পইন্টার রেখে রাইট বাটন ক্লিক করুন তাহলে নিচের পিকচার এর মত আসবে 


 

তারপর save link  এ ক্লিক করুন ............

আপনার কাজ শেষ । এভাবেই প্রতিদিন আপনি ডাউনলোড করতে পারবেন আপনার পছন্দের ভিডিও । আমার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ । বুজতে সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন ।

আমাদের ফেসবুক ফ্যান হল  Media Now
অথবা ফেসবুক এ আমার সাথে কথা বলুন  সাজু মিয়া 

Sunday, September 25, 2016

নিজের পণ্য বিক্রি করে YouTube থেকে আয় করুন



ধরুন আপনার নিজের একটা ফ্যাশন হাউজ আছে। এখন আপনি যদি নতুন ফ্যাশন ট্রেন্ডজ সম্পর্কে কিছু ভিডিও তৈরি করেন এবং সাথে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে কিছুটা রিভিও যুক্ত করে আপলোড করেন তবে ইউটিউব হতে পারে আপনার নিজের পণ্য মার্কেটিং এর সবথেকে বড় মাধ্যম। এখন আপনি বলতে পারেন যে এভাবে কত জনই বা কিনতে পারে। কিন্তু আপনি জানেন কি ইউটিউব এ আপনি কি পরিমান ভিসিটর পেতে পারেন? যেকোনো বিষয়ের উপর ভিডিও গুলোর ভিউ থেকে আপনি সহজেই তা বুজতে পারবেন। আর সবথেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে ওয়েব সার্চ এর তাবৎ ক্রয়যোগ্য (অর্থাৎ যে কীওয়ার্ড গুলো দিয়ে মানুষ কোন প্রোডাক্ট কিনার জন্যই সার্চ করে) সার্চের বেশিরভাগটাই ইউটিউবে হয়। মানে কেউ কোন পণ্য কিনার জন্য মন স্থির করলে সেই পণ্য সম্পর্কে জানতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইউটিউব ভিডিওই দেখে থাকে।

কিভাবে আপনার ব্লগে/ওয়েবসাইটে visitor বাড়াবেন

হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালই আছেন । আজকে আমি আপনাদের একটা মজার পদ্ধতি শিখাব । জেটা দিয়া আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ভিসিটর বারাতে পারবেন । তো চলুন শুরু করা যাক ।



প্রথমে আপনাকে   traffboost.net    এ গিয়ে একটা অ্যাকাউন্ট খুলুন



ব্যাস হয়ে গেল আপনার অ্যাকাউন্ট । এবার আপনি আপনার জিমেইল দিয়ে অ্যাকাউন্ট টি অ্যাক্টিভ করবেন । তারপর নিচের মত করে কাজ করুন





এইখানে আপনার ওয়েবসাইটের নাম দিয়ে সাবমিট করুন এবং তাদের নিয়ম অনুসরন করুন দেখবেন আপনার ওয়েবসাইটে ভিসিটর বেড়ে গেছে ।
 তো  আপনাদের উপকারের জন্য আমি কস্ট করে এটা লিখেছি । আপনাদের আমার এই পোষ্টই কেমন লাগলো অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন । কষ্ট করে আমার এ tutorial পড়ার জন্য আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ 
আপনার বুজতে কোন রকমের সমস্যা হলে 



Friday, September 23, 2016

ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন করার উপায়


বেশিরভাগ মানুষ ইউটিউব ব্যাবহার করে সম্পূর্ণ মজার খোঁড়াক হিসেবে। কেউ ব্যাবহার করে নিজের বিভিন্ন ক্রিয়েটিভিটি প্রদর্শন করে রাতারাতি খ্যাতি পাওয়ার জন্য আবার কেউ এটি ব্যাবহার করে নিজের এবং বন্ধুবান্ধবদের একান্ত কিছু স্মৃতি ধরে রাখার জন্য সারাজীবন। কিংবা কেউ হয়তো বিদেশে থাকা প্রিয়জনের কাছে নিজেদের বিশেষ আয়োজন বা মুহূর্ত পৌঁছে দেয় ইউটিউব এ আপলোড করা একটি ভিডিও এর মাধ্যমে।
কিন্তু যেসকল মানুষ প্রতিনিয়ত ইউটিউব ব্যাবহার করে শুধু শখের বসে তারা জানেই না যে আপনার আপলোড করা এই ভিডিও গুলো অনায়াসে হতে পারে আপনার আয়ের উৎস। খুব সহজ সাধারন কিছু নিয়ম অনুসরন করে অনলাইনের আয়ের যেকোনো ক্ষেত্র থেকে অনেক দ্রুত আয় করা যায় ইউটিউব থেকে। শুধু জানতে হয় আয়ের সঠিক পথ। তো চলুন দেখে নেই কি কি ভাবে আপনি ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন 

ইউটিউব থেকে আয় করার ৫ টি উপায়

১. ইউটিউব থেকে আয় করুন অ্যাডসেন্স দিয়ে

২. নিজের পণ্য বিক্রি করে

৩. এফিলিয়েট প্রোডাক্ট এর রিভিউ করে

৪. ইউটিউব এর পার্টনার হোন

৫. আপনার ভিডিওর ডেসক্রিপশনে লিঙ্ক বিক্রি করুন


তো আজকে আপনাদের শিখাব কিভাবে অ্যাডসেন্স দিয়ে ইউটিউব থেকে আয় করবেন .........




অ্যাডসেন্স এটাই ইউটিউব থেকে আয় করার সবথেকে জনপ্রিয় এবং বড় মাধ্যম। আমরা সকলেই জানি যে ইউটিউব হচ্ছে গুগল এর একটি সেবা। আবার গুগল অ্যাডসেন্স ও গুগলের। তাই ইউটিউব এর ব্যাপারে গুগলের প্রাধান্য অনেক। এমনকি আপনি মাত্র কয়েকটা ছোট ছোট ভিডিও দিয়েই একটি অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট এপ্রুভ করাতে পারবেন। আর সবথেকে মজার ব্যাপার হচ্ছে অ্যাডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়ার জন্য ইউটিউব হচ্ছে অন্যতম সহজ একটি পদ্ধতি। সেরা আর্নাররা শুধুমাত্র ইউটিউব অ্যাডসেন্স ব্যাবহার করে মাসে কয়েক লক্ষ ডলার পর্যন্ত আয় করে থেকে!  

তো আজকেই একটা ইউটিউব অ্যাকাউন্ট খুলুন  


Watch the chipmunk verson
Song : Bekhudi
Film : Teera Surrur
Verson : Alvin Chipmunk verson